Sunday, 07 September, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110 সর্বাধুনিক মেশিনে রোগ নির্নন ও বিশেষজ্ঞ ডক্টর চেম্বার।। ফেনী ল্যাব সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।। এস এস কে রোড়, ফেনী।। 01711375108/ 01815507975

থানায় জিডি করতে গেলে ব্যাবসায়ীর সাথে পুলিশের খারাপ আচরণ ও হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সংগৃহীত

ফেনীতে ব্যাবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায়, থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ কতৃক অসদাচরণ ও হুমকির অভিযোগ এক সাধারণ ঔষধ ব্যাবসায়ীর।

এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে, গত ১৬ আগষ্ট (শনিবার) পুলিশ সিকিউরিটি সেল, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর ঢাকা বরাবর আবেদন করেন ভুক্তভোগী মেডিসিন ব্যাবসায়ী জাহিদুল ইসলাম।

এই বিষয়ে ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম ভূঞা অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলা ও হুমকির শিকার হয়ে থানায় জিডি করতে গেলে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস এবং এএসআই এমরান হোসেন আমার সঙ্গে অসদাচরণ ও হুমকি দিয়েছেন।

জাহিদুলের অভিযোগ অনুযায়ী, ফেনী সদরের মাথিয়ার গ্রামের কিছু সন্ত্রাসী—অপু, হাসান, জয়, সামীরসহ ৮-১০ জনের একটি চক্র এলাকায় মদ, জুয়া, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।

এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় গত ১৩ আগস্ট রাতে আমার মেডিসিন দোকানের দরজায় হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করায় ১৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই সন্ত্রাসীরা দোকানে ঢুকে জাহিদের ওপর হামলা চালায়।

জাহিদুল বিষয়টি ফেনী মডেল থানার এ এস আই এমরান হোসেনকে ফোনে জানালে, রাত ৯টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য নেন এবং সকালে থানায় গিয়ে জিডি করার  পরামর্শ দেন।

পরের দিন, ১৫ আগস্ট, জাহিদ লিখিত কপি নিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে যান। এ সময় তিনি জিডি কপিসহ পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাসের কক্ষে যান। সেখানে সজল কান্তি দাস ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে, সজল কান্তি দাস জিডি কপি ছুড়ে ফেলে এবং ডিউটি অফিসারকে বলেন, ‘এন্ট্রি কর, আর এই জিডি গলায় ঝুলিয়ে রাখিস।’

ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মাহিম ও গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ খালেক উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদুল বলেন, ‘আমার ছোট জীবনে প্রথমবার থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন আচরণ আমাকে হতাশ করেছে। সন্ত্রাসীদের হুমকি ও হামলার কারণে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এমনকি আমি আমার ঔষধের দোকানও খুলতে পারছি না।’

তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা চেয়ে এবং নিজের ও ব্যবসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সদর দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগ পত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মহাপরিদর্শক (আইজিপি), চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং ফেনীর পুলিশ সুপার-এর নিকট।

অসদাচরণ ও হুমকির ব্যাপারে এস আই সজল ক্রান্তি দাস বলেন, তারা এই ঘটনার ১৩ আগষ্ট একটি অভিযোগ দিয়েছেন, সেটার তদন্ত চলমান। তিনি আবার এসে বলছেন অভিযোগ প্রত্যাহার করে জিডি করবেন। এজন্য আমি তাকে বললাম আপনারা আপনাদের ইচ্ছে মত একবার একটা করে পুলিশ কে হয়রানি করবেন কেন? পুলিশের তো আরো অনেক কাজ আছে। এখানে হুমকি - ধামকির কোন ঘটনা ঘটেনি।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। একজন ভুক্তভোগী থানায় এলে তাকে আইনের সহায়তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত